মহাকাশে কেপলার

ভূমিকা:  পৃথিবীর জ্ঞানী মানুষ যুগ যুগ ধরে একটা কথাই ভেবে এসেছে যে এই অসীম শূন্য মহাকাশে তারাই কি শুধু জীবিত প্রাণী না পৃথিবীর মতো আরো কোন গ্রহ এখানকারই মত জীবন আছে? রাতের আকাশের তারাদের দেখেও কখনো মানুষের মনে হয়েছে ওইসব কাদের মধ্যে কোন প্রাণ আছে কি? এইসব ভাবনাতে ভাবি তো হয়েই সম্ভবত গত ৭ মার্চ ২০০৯ মহাকাশে নাসার বিজ্ঞানীরা পাঠালেন কেপলার নামের মহাকাশযানটি মূলত মহাকাশে প্রাণের সন্ধান করতে।


কেপলার কি?


  কেপলার একটি মহাকাশযান।এটি তৈরি করেছে নাসার বিজ্ঞানীরা। এই মহাকাশযানে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী আলোক সুবেদী টেলিস্কোপ আছে। প্রায় হাজার হাজার আলোকবর্ষ দূরের তারার আলো ধরা পড়বে এই টেলিস্কোপে। এটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে মোটামুটি ৬০ কোটি মার্কিন ডলার। এই মহাকাশযানটি পৃথিবীর মানুষের গর্বের বস্তু এবং এর কাজে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জার। তাই সাফল্যের সাথে কেপলার যাত্রা শুরু করায় আমরা খুব অবশ্যই খুশি এবং এই প্রার্থনাই করেছে তারা যেন সফলভাবে তার কর্তব্য পালন করতে পারে ।


কেপলারের লক্ষ্য


এই মহাকাশযানটি সূর্যকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে করতে ছায়াপথের নক্ষত্রপুঞ্জ আগে পরীক্ষা করে দেখবে। প্রায় ৩ বছর ধরে ১ লক্ষ্য নক্ষত্র কে পর্যবেক্ষণ করবে কেপলার। আলোক তরঙ্গের হেরফের এর মাধ্যমে এই টেলিস্কোপ পৃথিবীতে বলা মহাকাশ বিজ্ঞানীদের জানিয়ে দেবে কোনো বিশেষ গ্রহ-নক্ষত্রের হাল। তাতে জল আছে কিনা প্রাণ থাকার সম্ভাবনা আছে কিনা কত তার ভার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে কত সময় লাগবে কতই বা তার তাপমাত্রা এসব তথ্য প্রদান করবে কেপলার। এই মহাকাশ গবেষণা এবং মহাশূন্যে প্রাণের সন্ধানে ক্ষেত্রে এটা বিশাল ইতিবাচক পদক্ষেপ।

 স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে, ৬ই মার্চ বোকা ক্যানভেড়াল এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকে ডেল্টা-২ রকেটে চেপে তিন বছরের অভিযানে যায় কেপলার মহাকাশযানটি।


কেপলারের প্রয়োজনীয়তা


 প্রধানত মহাকাশের অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্র গুলির উপর নিবিরভাবে নজরদারি করে সেখানকার পরিমণ্ডল সম্পর্কে জানা এবং সেখানে কোনো রকম প্রাণী আছে কিনা তা জানেই হলো এই মহাকাশযানটির টেলিস্কোপ এর কাজ। সপ্তদশ শতাব্দীর জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী কেপলারের নামে এই মহাকাশযানটির নামকরণ করেছেন আশা। কে প্রথম উপগ্রহের প্রদক্ষিণ সংক্রান্ত সূর্যকে খাওয়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়েছিল।

 উপসংহার:  মানুষের সেই আদিম প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কেপলার নামের মহাকাশযানটি পাঠানো হয়েছে মহাশূন্য দীর্ঘ পরীক্ষার জন্য। কেপলারের প্রধান বিজ্ঞানী উইলিয়াম আত্মবিশ্বাসের সাথে জানিয়েছেন সেই মহাকাশযানটি মহাজাগতিক নানা তথ্য সংগ্রহ করে পাঠাবে পৃথিবীতে আর তাতেই আমরা হয়তো খুঁজে পাবো অন্য কোন জ্ঞানের সন্ধান।

হেলিকপ্টার বিপর্যয় অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরি সন্দিতি রাজশেখর রেড্ডি

ভারতের মহাকাশ গবেষণা রচনা

মঙ্গলগ্রহে ফিনিক্স রচনা

Leave a Comment