মহাকাশ গবেষণায় ভারত প্রবন্ধ রচনা

ভূমিকা: মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অগ্রগতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।  মহাকাশের রহস্য উদ্ধার করতে প্রথম মহাকাশে মানুষ যায় ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়া থেকে। এই ঘটনার পর পৃথিবীর অন্যান্য দেশ গুলি যেমন যোগ দেয় ঠিক তেমনভাবে ভারত এ ব্যাপারে মনোযোগী হয়।

ভারতের গবেষণা সংস্থা

ভারতে প্রথম গবেষণার জন্য কমিটি গঠিত ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে ১৬ ফেব্রুয়ারি।  এরপর ১৯৬৯  খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট থেকে শুরু হয় ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন এর তত্ত্বাবধানে। 

বর্তমান ভারতের মহাকাশ গবেষণার দায়িত্ব রয়েছে ‘দি ডিপার্টমেন্ট অব স্পেস এন্ড দি স্পেস কমিশন’ – এর উপর।

কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র

রকেট উৎক্ষেপণের ভারতকে সাহায্য করে আমেরিকা ও রাশিয়া।  আজ পর্যন্ত ভারতের ৮০০টি রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।  কেরালার রাজধানী তিরুবন্তপুরম এর নিকটবর্তী থুম্বা কেন্দ্র থেকে রকেট উৎক্ষেপণের ভারত নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকে। 

আমেদাবাদ কেন্দ্র থেকে কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে গ্রহের সঙ্গে পৃথিবীর যোগাযোগ স্থাপনের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা আরম্ভ হয়।  অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা যে রকেট ও কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ এবং নানা পোকার বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা কেন্দ্র টি রয়েছে বর্তমানে সেটি অসীম গুরুত্বপূর্ণ।

কৃত্রিম উপগ্রহ

ভারত মহাকাশ গবেষণার অগ্রগতি লাভ এর একটি দৃষ্টান্ত ১৯৭৫  খ্রিষ্টাব্দের ১৯ এপ্রিল প্রথম উপগ্রহ আযভট্ট উৎক্ষেপণ।  আবার ১৯৭৯  খ্রিস্টাব্দের জুন দ্বিতীয় উপগ্রহ ভাস্কর কে মহাকাশে পাঠায়। এর ঠিক এক বছর পর রোহিণীকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এরপর থেকে ভারত আর থেমে থাকিনি।  পরপর বহু উপগ্রহ পাঠাতে থাকে।

এই  উপগ্রহগুলি হলো –  রোহিণী-১,  অ্যাপোলো, ভাস্কর-১,  রোহিণী-ডি-২, রোহিনী-ডি-৩, ইনসাট। ভারতের প্রথম মহাকাশচারী ব্যক্তি রাকেশ শর্মা রাশিয়া ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন।

ভারতের গবেষনার প্রয়োজন

মহাকাশ গবেষণার জন্যই আজ মহাকাশ সম্পর্কিত তথ্য আমরা জানতে পারি। গভীর সমুদ্রের অজানা রহস্য, তুষারবৃত্, পর্বতের বরফের পরিমাণ,  জলবায়ু সংক্রান্ত নানা তথ্য কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে আমরা পেয়ে থাকি। আর এর থেকেই মহাকাশযানের সার্থকতা আমরা পাই।

 উপসংহার:  মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হলেও আর্থিক সংকট ভারতের ক্ষেত্রে রয়ে গিয়েছে। জাতীয় জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে যেভাবে অর্থনীতির বিনিয়োগ মহাকাশের ক্ষেত্রেও তা বাড়াতে হবে। আর তাহলেই ভারত আরো উন্নত স্থানে পৌঁছাতে পারবে। আর এই ভাবেই ভারত অর্থনৈতিক দিক থেকে উন্নতি করতে পারবে।