বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ রচনা

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ: আদিম যুগে সারা পৃথিবী ছিল অরণ্য সংকুল। আর সেখানেই ছিল মানুষ ও বন্য প্রাণীদের বাসস্থান। নিত্যসঙ্গী উভয় বাস করত। কিন্তু কালক্রমে উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনের আর যার জন্য ধ্বংস করে অরণ্য। যদিও কৃষিকাজ করে তারা ফসল ফলাতে থেকে পায় খাদ্যদ্রব্য।

কিন্তু দিনে দিনে তাদের প্রয়োজন বেড়ে যায় যায় চাহিদা বাড়ে। আর তাই রাজরাজরা শুরু করেন মৃগয়া। বর্তমানে যা হয়ে দাঁড়ায় পশু শিকার। আর এর উদ্দেশ্য হলো পশুদের বিভিন্ন শরীরের অংশ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা। হরিণ, বাঘ, মহিষ, সিংহ ইত্যাদি পশুদের মধ্যে কাউকে ছেড়ে কথা বলে না। তাই সেই বন্যপ্রানীদের সংরক্ষণ করা খুবই জরুরি।

বন্য প্রাণীর বিলুপ্তি

যত দিন যাচ্ছে মানুষের অত্যাচারে তাদের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। খাদ্যের অভাব পূরণ হচ্ছে না তাদের। তাই লোকালয় দিকে এগিয়ে আসছে তারা। আমাদের পৃথিবীর বহু প্রাণী বিলুপ্ত। আর কিছু প্রাণী আজ ধ্বংসের মুখে। কেননা তাদের প্রয়োজনীয় বাসস্থানে ঘাটতি হচ্ছে।

অরণ্যের বিলুপ্তি ঘটছে। এছাড়াও আছে কিছু অসৎ লোকের অসৎ মতলব। যার ফলে বন্যপ্রাণীদের জীবন বিপন্ন। আবার দূষিত পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী টিকে থাকার পক্ষে উপযুক্ত থাকছে না।

 মানুষ ও বন্যপ্রাণী

জীব জগতের প্রতিটি প্রাণী সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। আমাদের জৈবমন্ডল তৈরি হয়েছে উদ্ভিদ, জল, বায়ু, মাটি ইত্যাদি। জীব জগতের প্রতিটি পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। একে অপরের উপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকি।  মানুষেরা তাদের কাছে একটা বড় আকর্ষণ বন্য এবং বন্যপ্রাণী।

আর এই জন্যই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। মানুষদেরসতর্ক থাকতে হবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করার জন্য। মানব শিশু যেমন তার মার কাছে ভালো থাকে ঠিক তেমনভাবে বন্যপ্রাণীরা অরণ্য সুস্থ জীবন যাপন করতে পারে।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা একান্ত প্রয়োজন সেটা আজ বুঝতে পেরেছে।সংরক্ষণের জন্য প্রথম আমেরিকান ন্যাশনাল পার্ক গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে এটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বাঘ, সিংহের সংখ্যা আজ বিলুপ্ত হবার থেকে রক্ষা পেয়েছে। ব্যাঙেরপাচার একসময় এমন বৃদ্ধি যার ফলে মশার সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়।

বর্তমানে সরকারী নীতি দ্বারা এটি বন্ধ করা হয়েছে।প্রকৃতির প্রতিটি ছোট ছোট জিবি পরিবেশকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আর তাই প্রকৃতির প্রতিটি জীবকেই সংরক্ষণ করতে হবে।বন্য প্রাণী সংরক্ষণ করা আমাদের একান্ত গুরুত্বপূর্ন করনীয়।কিন্তু একই আমরা কোনোভাবেই গ্রাহ্য করিনা। করি না কিন্তু তার প্রতিকার অসম্ভব।

আমাদের মধ্যে যে শিশুরা রয়েছে তাদেরও শিক্ষার মাধ্যমে আসে পাসে পশু এবং বন্যপ্রানীদের সম্পর্কে ধারনা অর্জন করাতে হবে।যদিও বর্তমানে গণমাধ্যমের সাহায্য নিয়ে ভীষনভাবে মানবসমাজকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। অরণ্য ও অরন্যর প্রাণীরা বিভিন্ন দিকে থেকে মানুষের নিত্যসঙ্গী। আর তাই এদের সংরক্ষণের ব্যাপারে নজর দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।

খরা, নতুন মরুভূমি, আগুন এবং বন্যা প্রতিরোধের জন্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রয়োজন। এছাড়াও, এই সংরক্ষণ নিশ্চিত করে যে আগামী প্রজন্মের মানুষ এবং বন্যপ্রাণীরা প্রকৃতির দ্বারা বেষ্টিত হবে যার ফলে এটিকে ভালবাসবে এবং বন্যপ্রাণীর তাত্পর্য বুঝতে পারবে।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের উপায়

আজকে মানবজাতি অনেক আধুনিক হয়েছে এবং তার সাথে সাথে মানুষরা অনেক স্বার্থপর হচ্ছে। মানবজাতির নিজের বাসস্থান সুন্দর ভাবে গড়ে তলার জন্য অন্যদের বাসস্থানকে ধ্বংস করছে আর এখানে যাদের বাসস্থান ধ্বংসের কথা বলে হয়েছে সেটি হল বন্য প্রানীদের।

মানুষ বন জঙ্গল কেটে তারা বন্য প্রানীদের বসতিকে নষ্ট করে ফেলছে এবং যার ফলে বন্য প্রাণীরা আজকে মানুষদের বসতির মধ্যে প্রবেশ করতে বাধ্য হচ্ছে। তাই মানবজাতিকে তাদের বাসস্থানকে যদি সংরক্ষণ করে থাকে তাহলে বন্যপ্রাণীরা সুরক্ষিত থাকবে তারসাথে আমরাও সুরক্ষিত থাকব। শুধু বাসস্থানই নয় বন্য প্রানীদের শিকার করাও বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে সরকার ও প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।

১. বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি: জনগণের মধ্যে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের উপর সচেতনতা বৃদ্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের মধ্যে বন্যপ্রাণীর উপর মেধা এবং সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে প্রাণীদের সংরক্ষণ প্রস্তুতি করা যায়।

২. অভ্যন্তরীণ বন্যপ্রাণীর জন্য স্থান ব্যবস্থাপনা: বন্যপ্রাণীদের জন্য অভ্যন্তরীণ স্থান ব্যবস্থাপনা করা প্রয়োজনীয়, যাতে তাদের বাসভূমি কম আঁচনায় পরিবেশ এবং নীতিমালা মেনে চলতে পারে।

৩. স্থানীয় সংস্থা এবং সরকারের সহায়তা: স্থানীয় সংস্থা এবং সরকার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অবদান রাখতে পারে। তাদের সহায়তায় স্থানীয় মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংক্রান্ত প্রকল্প পরিচালনা করা সম্ভব।

৪. হাড়ভাড়ি এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র: বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র ও হাড়ভাড়ি তৈরি করা যেতে পারে, যাতে আক্রমণে আক্রমণের পশ্চাত অপবাদ বা অসুবিধা উত্থাপন করা সম্ভব না হয়।

৫. বন্যপ্রাণীদের অভ্যন্তরীণ জীবন সংস্কার: কিছু বন্যপ্রাণীর জন্য ক্রিয়াকলাপ গ্রহণ করার পূর্বে তাদের অভ্যন্তরীণ জীবনের সংস্কার করা প্রয়োজনীয়, যাতে তারা আক্রমণ বা মানব সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক প্রত্যাহার করতে পারে।

৬. অবৈধ বন্যপ্রাণী ব্যবসা প্রতিরোধ: অবৈধ বন্যপ্রাণী ব্যবসা করা বন্যপ্রাণী সংখ্যা কমাতে পারে এবং অনেক বন্যপ্রাণীর বিপন্নতা এই ব্যবসা থেকে উদ্বাসিত হতে পারে। অবৈধ বন্যপ্রাণী ব্যবসা দমন এবং প্রতিরোধের জন্য সক্রিয় প্রচেষ্টা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন:

জলাভূমি সংরক্ষণ

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ভারতে কবে চালু হয়?

ভারতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন চালু হয় ১৯৭২ সালে।

Leave a Comment