সার্স রোগ রচনা

ভূমিকা: যে সমস্ত রোগ আস্তে আস্তে নির্মূল হয়ে যাচ্ছিল তারা আবার ফিরে আসছে। সার্স একেবারে নতুন সৃষ্ট কোনো রোগ নয়। আমাদের অতি পরিচিত নিউমোনিয়া নতুন সংস্করণ। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকরা যে একেবারে মুঠোর মধ্যে এনে ফেলেছিলেন দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে আবার সে একেবারে মহীরুহ হয়ে উঠলো। এই রোগটা প্রথম ধরা পড়ে চীনের গুয়াংদুং শহরে যে ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি মারা গিয়েছিলেন। তখন কিন্তু লোকটার নাম সার্স ছিলনা। পরবর্তীকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা সেখানে গিয়ে নানা রকম তথ্য সংগ্রহ করে রোগটি কে চিহ্নিত করেন। এই রোগটি হংকং, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, কানাডাসহ পৃথিবীর প্রায় 30 টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।

 সার্স:  নিউমোনিয়া নয় অথচ নিউমোনিয়ার মত স্বাস ও ফুসফুসের এক ভয়ঙ্কর অসুখ। নেপথ্য আছে এক বা বেশি মারণ ভাইরাস যেগুলি নিশ্চিত। কিন্তু কোনো জীবিত কোষের মধ্যে ঢুকে পড়লে অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। এক থেকে অসংখ্য তে পরিণত হয়। তখন বিপদ ঘটে। সার্স ভাইরাসের সঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মিলেছে। যদিও প্রায় 11 টি দেশের বিজ্ঞানীরা এই নিয়ে এখন গবেষণারত।

 রোগের লক্ষণ:  ভাইরাস ঘটিত রোগ আমাদের নিত্য সহচর।কিছুদিন আগে পযন্ত ‘এডস’ এর ভাইরাস এইচ.আই.ভি কে আমরা ভয়ংকর বলে জানতাম।তার সঙ্গে এখন যোগ হল সার্স ভাইরাস। এই ভাইরাসের সঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের অনেকটা মিল আছে। এটুকু আমাদের চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন। সার্স ভাইরাস দেহে প্রবেশ করলে গলা ও স্বাসপথ অর্থাৎ ট্রাকিয়া বা শ্বাসনালী, ব্রন্কাস বা ক্লোম্নালি এবং বা ক্লোমনালির শ্লেষ্মা পর্দা মিউকাস মেমব্রেন দ্রুত আক্রান্ত হয়। ফ্লুর উপসর্গ কমন কোল্দের মতই তবে সংক্রমণ হয় হটাত করেই। কয়েক মিনিটের মধ্যে হাঁচি, কাশি মাথাভার, নাক দিয়ে জল ঝরা, গলা খুশখুশ শুরু হয়। সার্স এসব উপসর্গের সঙ্গে থাকে তীব্র শ্বাসকষ্ট, পেট খারাপ, গায়ে গ্যাস, খিদে কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা। সার্স সম্পর্কে এখনো সতর্ক না হলে এর পরিনতি হতে পারে ভয়ংকর। সার্স তাই বলা হচ্ছে মরণ নিউমোনিয়া।

এই রোগে আক্রান্ত হয় তারাই যারা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে থাকে অর্থাৎ পরিবারের লোক।