ক্রিকেট খেলা বাংলা রচনা

মানুষ তার প্রাত্যহিক জীবনে কর্ম ব্যস্ততার মধ্যে নতুনের সন্ধান করে চলেছে। আর এই কর্মব্যস্ততার মাঝে খেলা হলো এমনই একটি জগত যা এনে দেয় পুরোপুরি মুক্তির খোঁজ। প্রাচীনকাল থেকে এরকম বহু মনোরঞ্জনের জন্য বিভিন্ন খেলা প্রচলিত। বর্তমানে যেখানে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় তা হল ক্রিকেট। বর্তমানে বড় বড় দেশগুলোর মধ্যে খেলা বহুল প্রচলিত।

ক্রিকেট খেলা

ক্রিকেট খেলার মাঠ ও সরঞ্জাম


ক্রিকেট খেলার সৃষ্টির আধুনিক যুগে। এই খেলার জন্মভূমি হল ইংল্যান্ড। ক্রিকেট খেলায় মাঠের আকৃতি হয় গোল অথবা ডিম্বাকৃতি। যে সমস্ত সরঞ্জাম এর প্রয়োজন তার মধ্যে হল উইলো কাঠের ব্যাট, 6 টি উইকেট, বল, চারটি বেল ও হেলমেট। দুদিকে মাঠের যে থাকে তার দৈর্ঘ্য 22 গজ। 6টি উইকেট থাকে যেগুলো থাকে দুই প্রান্তে তিনটি করে।আর উইকেটের মাথায় বেল গুলি বসানো থাকে। ব্যাটসম্যানের হাতে থাকে গ্লাভস পায় থাকে বুট ও প্যাড এবং ব্যাটসম্যানের মাথায় থাকে হেলমেট।বিপক্ষ দল বল করে। উইকেটের পেছনে যে উইকেটকিপার থাকে তার হাতে ও থাকে চামড়ার মোটা গ্লাভস পায়ে প্যাড এবং বুট।


ক্রিকেট খেলার আইন কানুন


ক্রিকেট খেলায় সাধারণত এগারো জন খেলোয়াড় থাকে। দুজন আম্পায়ার খেলা পরিচালনা করে। আর একজন আম্পায়ার থাকেন বাইরে তাকে বলা হয় তৃতীয় আম্পায়ার।  খেলার সময়  দুদিকে দুজন ব্যাটসম্যান থাকে। বিপক্ষ দলের 11 জন খেলোয়াড় মাঠে ফিল্ডিং দেয়। এদের মধ্যে একজন থাকে উইকেট কিপার। ভোলার সবসময় ব্যাটসম্যানকে আউট করার উদ্দেশ্যে বল করেন। একটি ওভারে 6 টি বল করতে পারে বলার। ব্যাটসম্যান সর্বদা বল ব্যাট ঠেকিয়ে রান করতে চাই।বল মাঠের বাইরে গেলে চার হয় অথবা ছয়। নির্দিষ্ট ওভার পর্যন্ত খেলা হয়। ব্যাটসম্যান আউট হয় অনেক রকম ভাবে L.B.W , রান আউট’ ,বোল্ড আউট, ক্যাচ আউট। 10 উইকেট পড়ে গেলে এক পক্ষের খেলা শেষ হয়। এরপর কিছুক্ষন বিশ্রাম এর পর আবার খেলা শুরু হয়। প্রথমজন করে তার থেকে বেশি রান করে অপর পক্ষকে জিততে হয়। নতুবা তারা হেরে যায়। এইরকম খেলা হয় একদিনের ম্যাচে আবার পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচে হয়। টেস্ট ম্যাচে প্রতিটি দল দুটি করে ইনিংস খেলে। বর্তমানে একদিনের ম্যাচ প্রাধান্য পেল প্রথমদিকে টেস্ট ম্যাচে বেশি প্রচলিত ছিল।


সমাজ জীবনে প্রভাব


ক্রিকেট খেলার আনন্দ একটু অন্য রকমের। কোনো একভাবে খেলা দেখা যায় না। কখনো হারাবার কখনো জিতের আনন্দ। কিন্তু এইখানে জনপ্রিয় হলেও যত দিন যাচ্ছে তার কুপ্রভাব কিছু কমে যাচ্ছে না। সমাজে যেসব ছাত্রছাত্রী রয়েছে তাদের পড়াশোনা ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি কর্মক্ষেত্র দেখা যায় এর কুপ্রভাব। কাজের বদলে খেলা দেখছে ফলে কাজ নষ্ট হচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ফলে ব্যাহত হচ্ছে। এভাবে সব ক্ষেত্রেই শিথিলতা দেখা দিচ্ছে মনোরঞ্জন মূলক কাজের বদল।

 উপসংহার: ক্রিকেট খেলা ধীরে ধীরে  উন্নতির চরম শিখরে  পৌঁছে যাচ্ছে। অন্যান্যের মধ্যে ক্রিকেট খেলাটি ও পারস্পরিক মেলবন্ধন করছে। এটির মাধ্যমে সুস্থ্য গড়ে তোলা সম্ভব। এই খেলায় খেলোয়াড়দেরকে শারীরিক ও আর্থিক লক্ষ্য রাখতে হবে। আর প্রয়োজন অনুশীলন সঠিক ব্যবস্থা করা। এভাবেই আরো জনপ্রিয় ও সুষ্ঠুভাবে গড়ে উঠবে।