হেপাটাইটিস-বি লক্ষণ প্রতিকারের বাংলা রচনা

মানুষ যত বেশি উন্নত হচ্ছে। বিজ্ঞানের উপর যত বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ততোই নানারকম অন্ধকার মানুষকে চতুর্দিক থেকে গ্রাস করে ফেলেছে ক্রমাগত মানুষ নানা দুরারোগ্য ব্যাধির শিকার হচ্ছে। এতে মানুষের মূল বুনিয়াদ আজ হুমকির সম্মুখীন। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব চিরতরে লুপ্ত হতে পারে বলে। অবাঞ্ছিত মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে সম্প্রতি সারাবিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এক ভয়ঙ্কর ব্যাধি ‘হেপাটাইটিস-বি’ এর সমস্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে হয়েছে এই মারণ ব্যাধির বিরুদ্ধে।

hepatitis-b

হেপাটাইটিস-বি রোগটা কি?

যকৃত বা লিভার এর প্রতিশব্দ হেপাটাইটিস এর অর্থ ফুলে যাওয়া বা প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন। তাই প্যাথলজিতে হেপাটাইটিস শব্দটির অর্থ হলো যকৃত বা লিভার এর প্রধান লক্ষণ হলো দুর্বলতা খিদে না হওয়া মাথা ঘোরা বমি ভাব হলুদ বর্ণ ধারণ,  এইচপিভি হেপাটাইটিস-বি যার ফলে যকৃত ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং দেখা যায় লিভার সিরোসিস লিভার ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তির ক্যারিয়ার।

 রোগের উৎপত্তি ও লক্ষণ

হেপাটাইটিস বি রোগের সন্ধান পাওয়া যায় গত দশকে আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির সন্নিহিত অঞ্চলে। সেখান থেকে এই রোগ এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এ রোগের লক্ষণ হলো অরুচি, বদহজম, প্রসাবের রং বদল, ঘুমের ব্যাঘাত, চোখের বর্ণ হলুদ হয়ে যাওয়া, চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে লিভারের প্রদাহ থেকে এই রোগের প্রাদুর্ভাব।

মানুষ এই লোকটিকে সাধারণ রোগ মনে করে প্রথমদিকে অবহেলা করে। পরের দিকে এই রোগ মারাত্মক হয়ে যায়। অদৃশ্য জীবাণুর আক্রমণে লিভার ও পাকস্থলী নষ্ট হয়ে যায়। প্রাচীনকালে যাকে বলা হতো কাম রোগ। এযুগের তা আরো জটিল হেপাটাইটিস-বি নাম ধারণ করেছে।

হেপাটাইটিস-বি রোগের পরিনাম

হেপাটাইটিস-বি একপ্রকার দুরারোগ্য ব্যাধি। মানুষকে সহজে কাজ করতে পারে এমনকি মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তির যথাযথ চিকিৎসা করার সময় পাওয়া যায় না। এই রোগ যেহেতু পাকস্থলী ও লিভারের আক্রমণ চালায় সেই হেতু রোগীর লিভার দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।

সাধারণ খাবার গ্রহণের ক্ষমতা লোপ পায়। এর ভয়াবহ পরিণাম লিভার সিরোসিস রোগীর মৃত্যু ঘটে। খাদ্য হজমের ক্ষমতার ফলে রোগী খুব তাড়াতাড়ি দুর্বল হয়ে পড়ে। এই রোগের আক্রমণে শরীরে উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তার শক্তি রহিত হয়ে যায় ক্রমশ মৃত্যুর অন্ধকারে ঢলে পড়ে।

 হেপাটাইটিস-বি রোগের প্রতিকার

চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ এই রোগ প্রতিকারে প্রথমে রক্তে বিলিরুবিন পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেন। রক্তের মধ্যে হেপাটাইটিস বি রোগের জীবাণু পাওয়া গেলে তখন চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়। তবে চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে এই রোগের প্রতিষেধক এর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতিষেধক টিকা টিকা দেওয়া হয়।

প্রথমটি প্লাসমা ডিরাটকভ ভ্যাক্সিন। দ্বিতীয়টি ‘ভি.এন.এ. রিকমবিলেন্ট ভ্যাকসিন’ ততৃতীয় পর্যায়ে সুস্থ ব্যক্তির দেহে তার আর হেপাটাইটিস-বি রোগে আক্রান্ত হবার ভয় থাকে না।

 হেপাটাইটিস-বি যদিও মানব জাতির সামনে এক ভয়ংকর বিপদ সংকেত। অতীতের মতো নিরন্তর সাধনার দ্বারা মানুষ একদিন এই বিপদকে জয় করবে। ডাক্তারকে নেতাজি সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন প্রসঙ্গত তা প্রণিধানযোগ্য। তার মতে রোগ যেমন নিরবতার অভিমান চালিয়ে যাচ্ছে মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে অস্ত্র শানাচ্ছে। একদিন মানুষের বুদ্ধি ও কুশলতার জয় অনিবার্য।

Leave a Comment