বিজ্ঞান ও কুসংস্কার রচনা

ভূমিকা: সভ্যতার সৃষ্টি থেকেই মানুষ বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে জয় করে দুর্লভ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে।মানুষের মাধ্যমে সভ্যতার ইতিহাস কে গৌরবময় করতে পেরেছে। আবিষ্কারের এক নেশা তার মধ্যে প্রতিনিয়ত বয়ে চলেছে। অজানাকে জানতে চাই প্রতিমুহূর্তে। আর অজানাকে জেনে অসম্ভবকে সম্ভব করে তবেই বিজয়ী প্রাণের তৃপ্তি আর এই বিজয়ী প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে বিজ্ঞান এর মাধ্যমে।


বৈজ্ঞানিক বোধের বিকাশ


বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কারের মধ্য দিয়েই মানুষের জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করেছে। গুহার জীবন থেকে নগর জীবন গড়ে তুলেছে বিজ্ঞানের বিকাশ এর মাধ্যমে। যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে কলকারখানা সমস্তই বিজ্ঞানের সাহায্যে গড়ে উঠেছে। কিন্তু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও বৈজ্ঞানিক বোধ এক জিনিস নয়। অজ্ঞতাকে দূর করে জ্ঞানের আলো আনাই বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য। স্বচ্ছ ও সুস্থ চিন্তা ধারায় শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য।প্রাত্যহিক জীবনে মানুষ নানা কুসংস্কারে আচ্ছন্ন। তার জন্য বৈজ্ঞানিক বোধের বিকাশ ঘটাতে হবে। এই বিকাশ বোধ জাগ্রত হলে সামগ্রিক উন্নতি ঘটবে জাতির ইতিহাসে।


বিজ্ঞান ও কুসংস্কার


বৈজ্ঞানিক বিকাশের ক্ষেত্রে রয়েছে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা। এরমধ্যে রয়েছে অন্ধ কুসংস্কার। সমাজের ধর্ম চলতে থাকে। আর বৈজ্ঞানিকদের মাধ্যমে তা সম্ভব। কিন্তু যেখানে  কুসংস্কারচ্ছন্ন  সমাজ রয়েছে সেখানে অগ্রগতি হতে পারেনা। বিজ্ঞানমনস্কতা মানুষের মোহান্ধ দূর করতে পারে। বিজ্ঞানী মানুষের মধ্যে শাশ্বত সত্য কে জাগিয়ে তুলতে পারে। মানুষ আজও অলৌকিকতাকে বিশ্বাস করে। শিথিল অনুদান  ধর্মঅনুষ্ঠানে তারা মগ্ন। আর বিজ্ঞান বোধের অভাব এই এইরকম ঘটে চলেছে। এখন রয়েছে জাতির লড়াই, বর্ন, চলছে নিরন্তর নারী হত্যা, ধর্মের নামে অধর্ম।


বিজ্ঞান মনস্কতা বিকাশের কর্মসূচি


আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক যুগের বিজ্ঞানী অবহেলিত। এখন সমাজে রয়েছে কুসংস্কার। বিজ্ঞানের ছাত্র শিক্ষক হয়েও তারা নিজেরাই বিজ্ঞান বিমুখ। আর তাই বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ গড়ে তোলার নিরলস প্রচেষ্টা চলে যাচ্ছে সারা দেশজুড়ে চলছে বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তি গড়ে তোলার জন্য জনবিজ্ঞান আন্দোলন। গঠিত হয়েছে ‘ভারত জ্ঞান বিজ্ঞান যাঠা’  সারাদেশে 26 জন বিজ্ঞান সংগঠন কে নিয়ে গঠিত হয়েছে একটি জাতীয় কমিটি। এর উদ্দেশ্য বৃহত্তর বিজ্ঞান আন্দোলন।

উপসংহার: আজও মানুষের প্রথাগত কুসংস্কার সমাজে বাসা বেধে রয়েছে। আজ ও সামাজিক ভ্রষ্টাচার অত্যাচার প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। সংকীর্ণ মনোভাব আজও রয়েছে সমাজে। সেখানে কার্যকারণ সূত্র ধরে সত্য-মিথ্যা যাচাই করা সহজ কাজ নয়। আর এর থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ হল বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা। বিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নিরর্থক বিজ্ঞান মনস্কতার জন্য। বিজ্ঞান বোধ তখনই প্রকাশ হবে যখন মানুষ সত্য কে চিনতে পারবে। সংস্কারমুক্ত মানুষ হতে গেলে বিজ্ঞান বোধের উন্মেষ ঘটতে হবে।