ছাত্র সমাজ হলো ভবিষ্যৎ জীবন গড়ে তোলার প্রকৃত ভিত্তি। মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় হলে ছাত্র জীবন। ছাত্র সমাজ হলো আমাদের দেশের চিরন্তন ভবিষ্যৎ। ছাত্র জীবনের কর্তব্য জীবন সংগ্রামের জন্য যোগ্য সৈনিকরূপে প্রতিষ্ঠিত হওয়া। ছাত্র জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল সমাজসেবা, যার মাধ্যমে তারা নিজেদের জীবনের সার্থকতা আনতে সক্ষম হতে পারে।
প্রধান কর্তব্য
ছাত্র-ছাত্রীদের প্রধান কর্তব্য হলো তাদের অধ্যায়ন, যার মাধ্যমে তারা জ্ঞান অর্জন করতে পারে। আর এই জ্ঞান অর্জনের পথে অবিচল নিষ্ঠার সঙ্গে নিয়মিত অধ্যায়ন করা। ছাত্র জীবন হল সাধনা। কেন না অধ্যয়নকে সাধনার মধ্যে না ধরলে পরবর্তীকালে তারা এগিয়ে যেতে অসমর্থ হবে।
ছাত্র জীবনের আরেকটি উদ্দেশ্য হওয়া উচিত দেশের ও দশের জন্য নিজেকে নিয়োগ করা। আর যার জন্য প্রয়োজনীয় নিজস্ব মনুষ্যত্বের উদ্বোধন ও অন্তর্নিহিত শক্তির বিকাশ ঘটিয়ে শিক্ষাকে সার্থক করে তোলা।
ছাত্রসমাজের সংকল্প
পড়াশোনা ছাড়া ছাত্রজীবনের যে সংকল্প হওয়া উচিত তাহলে সুস্থ জীবনযাপন। যার জন্য তার প্রয়োজন সুশৃংখলা বজায় রাখা, নিয়মানুবর্তিতা ইত্যাদি। আরে সমস্ত ঠিক না থাকলে শরীর সুস্থ ও সবল হয় না এবং যার ফলে পড়াশোনার উন্নতি ঘটে না। এছাড়াও ছাত্রদের কর্তব্য গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান প্রদর্শন করা।
ছাত্রদের বিনয়ী হতে হবে। পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের সফলতা অর্জন হবে।
এছাড়াও ছাত্রদের সমাজ সেবায় ব্রতী হতে হবে। সমাজ, প্রতিবেশীদের প্রতি ছাত্রদের কর্তব্য অপরিসীম। ছাত্র সমাজের প্রতি সচেতনতা মনে রাখতে হবে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। এছাড়াও তাদের প্রতি সর্বদা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রেখে দেশের স্বার্থে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে হবে। দেশের অধিকাংশ দারিদ্র্যপীড়িত মানুষ যাদের কাছে এখনো পর্যন্ত শিক্ষার আলো গিয়ে পৌঁছায়নি। তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে এই ছাত্র সমাজকে।
প্রতিবন্ধীদেরকে শিক্ষা দিয়ে অশিক্ষার অন্ধকারে মুছে দিতে হবে। দেশের নিরক্ষর মানুষদেরকে শিক্ষা দিতে হবে। ছাত্রদের সংকল্প এজন্য হওয়া উচিত – সব মূঢ় ম্লান মূক মুখে ভাষা দেওয়ার। দেশের লোকেদের অস্বাস্থ্য, অপুষ্টি, কুসংস্কার থেকে মুক্ত করতে হবে। সমাজের মধ্যে রক্তদান শিবির গড়ে তুলতে হবে। সমাজকে অশিক্ষার থেকে মুক্ত করার জন্য ছাত্র সমাজকে হাল ধরতে হয়।
শিক্ষা মানুষের জীবনকে সুষ্ঠুভাবে গড়ে তোলা তাই শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হল মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানো। আর ছাত্র সমাজের শিক্ষার মাধ্যমে দেশের গুরু দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। বর্তমান দেশে হিংসা, কুসংস্কার, অপসংস্কৃতি সাম্প্রদায়িক বিরোধপূর্ণ।
ছাত্রসমাজের করে দেশের সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে পারে তার জন্য তাদের প্রয়োজন সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের সহযোগিতা। ছাত্রদের গুণাবলীর অধিকারী হতে হবে। তাদের হতে হবে সংযমী, সুশৃংখল ও নিয়মানুবর্তিতা। সমাজ তথা সমাজের প্রতিটি বিষয় যেমন ড্রাগের নেশায় ইত্যাদি রোধ করতে হবে ছাত্র সমাজকে।
অবশেষে বলা যায় যে, ছাত্র জীবনের মূলমন্ত্র হলো মনুষ্যত্বের বিকাশ এর মধ্যে দিয়ে দেশে দারিদ্র্যপীড়িত, অশিক্ষিত মানুষদের ঐক্য ও সংহতি সাধন করে তাদের সচেতন করা। ছাত্রদেরকে সমাজ এর কাজের দেশের সার্বিক উন্নতি জন্য ব্রতী হতে হবে।