বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ

বিজ্ঞান আধুনিক সভ্যতার নিত্যসঙ্গী।বর্তমান মানব সভ্যতার গঠনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান চিরস্মরণীয়। বর্তমান যুগের মানুষের বিচার বিবেচনা সমস্তই বিজ্ঞাননির্ভর। প্রকৃতির মধ্যে যেসব বস্তু রয়েছে বিজ্ঞানের সাহায্যই মানুষ তা আবিষ্কার করতে পেরেছে। বিজ্ঞান এর মাধ্যমে সারা পৃথিবী একটি মাত্র পরিবারের মধ্যে গড়ে উঠেছে যার আত্মীয়তা বিজ্ঞানকেই ঘিরে।


বিজ্ঞানের অবদান


বর্তমানে কৃষিকার্য থেকে শুরু করে বস্ত্রশিল্প পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে বিজ্ঞানের দান। কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান দিয়েছে ট্রাক্টর, রাসায়নিক সার, বিভিন্ন উন্নত যন্ত্রপাতি। বস্ত্র বয়ন শিল্পে এসেছে যন্ত্রচালিত কল।

আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ছাড়া অসম্ভব। এছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে, সংবাদ, মুদ্রাযন্ত্র, টেলিযোগাযোগ সবই বিজ্ঞানের দান। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান থেকে শুরু করে অস্ত্রোপচার,  রোগ প্রতিষেধক টিকা, এক্সরে, বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে। এছাড়াও আমাদের প্রয়োজনীয় বিদ্যুত  বিনোদনের সামগ্রী দিয়েছে বিজ্ঞান।


 বিজ্ঞানের জয়যাত্রা


বর্তমান যুগ অসম্ভব কাজ সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞানের সাহায্যে। মানুষ আজ ত্রিলোক জয় করেছে। গ্রহ উপগ্রহের গতিবিধি, বৃক্ষের প্রাণস্পন্দন, রোবট আবিষ্কার বিজ্ঞানের কাছ থেকে পেয়েছে।

মানুষ চাঁদে অবতরণ করেছে, কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরণ করেছে, এসমস্ত আশ্চর্য বিজ্ঞানের দ্বারা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে বিজ্ঞাননির্ভর প্রযুক্তিবিদ্যা, যা আমাদের আরও উন্নতি করতে সাহায্য করে।


বিজ্ঞানের অশুভ দিক


মানুষ বিজ্ঞানের প্রয়োগ করছে। কিন্তু সবই তার শুভ দিক দিয়ে নয়। মানুষ যেমন বিজ্ঞানের সাহায্যে মৃত্যুঞ্জয়ী হয়েছে ঠিক তেমনভাবে আবার হয়েছে মৃত্যুকামী।

দিকে দিকে বিজ্ঞানের তৈরি যন্ত্রপাতির সাহায্যে নিজেদের শক্তির অপপ্রয়োগ করছে। যুদ্ধের কাজে লাগাচ্ছে বিজ্ঞানকে। ফলে চারিদিকে ধ্বংসলীলা দেখা দিচ্ছে। এই সমস্ত অপপ্রয়োগ বিজ্ঞানের অশুভ দিককে তুলে ধরেছে।


 বিজ্ঞানের অপব্যবহার


মানুষই আজকে বিজ্ঞানের অশুভ দিকের উপাসক।এই অশুভ বুদ্ধির প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।আর যদি এরকম না হয় তাহলে পৃথিবী ধীরে ধীরে ধংশের পথে রওনা হবে।পৃথিবী মহাসশানে পরিনত হবে। সাম্রাজ্যবাদ ও যুদ্ধের মনোভাব বিজ্ঞনের আশীর্বাদকে, অভিশাপে পরিনত করতে পারে।

উপসংহার: পৃথিবীতে বিজ্ঞানের শক্তি দ্বারা মানুষ সমস্ত অশুভকে শুভ করার চেষ্টা করছে।কিন্তু এই সময় যদি বিজ্ঞানের অপপ্রয়োগ হয় তা মানব সভ্যতার কলংক হবে, এর বিরুদ্ধে শুভাকাঙ্খী মানুষদের রুখে দাড়াতে হবে। তবেই অশুভ শক্তি ধংস হয়ে শুভ শক্তির আবির্ভাব হবে।