পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য বাংলা রচনা

পরিবেশের সঙ্গে জন স্বাস্থ্য নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। পরিবেশ সুস্থ থাকলেই পরিবেশে বসবাসকারী লোকেরাও সুস্থ থাকতে পারবে। আমাদের দেশ ভারত বর্ষ জনস্বাস্থ্য একটা বড় সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার কারণ স্বরূপ বলা যায় শিক্ষার অভাব হিসাব অরক্ষণ ইত্যাদি। আবার আবহাওয়ার বিপর্যস্ত অবস্থা পাশ্চাত্য দেশগুলোর থেকে খারাপ ভৌগলিক অবস্থান দরুন।

পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য বাংলা রচনা

 পরিবেশ দূষণের ফলে স্বাস্থ্যের অবনতি:

পরিবেশ দূষণের ফলে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। আর এই পরিবেশ দূষিত হয় মানবসৃষ্ট কারণ এই। মানুষের দ্বারা আমাদের পরিবেশের জল ভূমি বায়ু দূষিত হচ্ছে। যেমন জল দূষণ ঘটছে ক্রমাগত কারখানার দূষিত বর্জ্য পদার্থ ইত্যাদি মিশ্রনের ফলে।  আবার এই কলকারখানায় চিমনির ঘন কালো ধোঁয়া বায়ুদূষণ ঘটাচ্ছে। ফলে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পাশাপাশি বৃক্ষরোপনের হার যে পরিমানে বাড়া উচিত সেই পরিমানে বাড়ছে না। সাধারণভাবে পরিবেশে অক্সিজেন ঘাটতি হচ্ছে। আর মানুষের শরীরের মধ্যে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। আবার এসবের পাশাপাশি ভূমি দূষণ ঘটে চলেছে। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক সার , পারমাণবিক পরীক্ষার ফল দুষিত হচ্ছে ভূমি। আরে সমস্ত কারণে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি ঘটেছে জন স্বাস্থ্যের অবনতি।

 জনসাস্থ কি?

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। মানুষকে নিয়েই গড়ে উঠেছে সমাজ। মানুষের স্বাস্থ্যই সম্পদ। আর এই সম্পদকে সুস্থ রাখা একান্ত প্রয়োজনীয়। আগে চিকিৎসকেরা মানুষের স্বাস্থ্য সুস্থ তখন বলতেন যখন তারা রোগ মুক্ত থাকতে। যদিও এই ধারণা হলো যান্ত্রিক। বর্তমানে স্বাস্থ্য বলতে বোঝায় মানুষের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সুস্থতা।

 কিন্তু আজ কোটি কোটি মানুষ অনাহারে রোগব্যাধির প্রকোপ ভুগছে। আবার অন্যদিকে অর্থের অভাবে ও জনসাস্থ বিপন্ন হচ্ছে। এই স্বাস্থ্য সমাজ ও মানুষ উভয় সুস্থ রাখা একান্ত কর্তব্য।

 শব্দ দূষণ: জল, বায়ু,  ভূমি এগুলো ছাড়াও আরেকটি দূষণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। সেটি হল শব্দ দূষণ। শব্দদূষণ আজকাল মোটর গাড়ির শব্দ, মানুষের হইচই,  মাত্রাছাড়া মাইক এর ব্যবহার,  বাজি পটকা আরও অসুস্থ তার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তথাপি এই অসহনীয় পরিবেশ প্রতিদিন লড়াই করে চলেছে ভগ্ন শারীরিক অবস্থা নিয়ে।

 প্রতিকার

এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। শব্দ মাত্রা  ৬৫ ডেসিবেলে বেঁধে দিয়েছেন। তথাপি আমাদের এই সমাজে এই কর্মসূচি কার্যকরী  করে তোলা একটি দুরহ বিষয়।  যেখানে অধিকাংশ মানুষই অশিক্ষার শিকার, অনাহার নিত্য থাকে,  সেখানে পরিবেশকে সুস্থ রাখতে হলে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হবে।

এসব সত্ত্বেও যেভাবে এদেশ থেকে ভয়াবহ রোগ ব্যাধি দূর হয়েছে তেমন ভাবে জনস্বাস্থ্যের দিক টা সম্পর্কে সচেতন করতে দেশে শিক্ষার বিস্তার করতে হবে। তবেই কালক্রমে জনস্বাস্থ্য উন্নত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবে।

এদেশের জনসাধারণকে সুস্থ রাখতে হলে প্রয়োজন সচেতন সমাজ গড়ে তোলা। আজও আমাদের দেশে ঘরে ঘরে দারিদ্রতা এসে কড়া নাড়ে অপুষ্টি এ দেশের নিত্য সঙ্গী  বেকারত্ব হলো স্বাভাবিক ঘটনা। এ সমস্যা দূর করতে হলে সমাজের শিক্ষিত পরিশীলিত জনগণকে সচেতন ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।

সমাজের জনসাধারণকে আক্রমণ না করতে পারে তার প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে। আর সেই জন্য অশিক্ষিত জনসাধারণকে সচেতন করতে হবে। আর আমাদের সকলকে এই দাবি করতে হবে – ‘ অন্ন চাই, প্রাণ চাই,  আলো চাই, চাই মুক্ত বায়ু, চাই বল, চাই sস্বাস্থ্য আনন্দ উজ্জ্বল পরমায়ু।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *