টেলিভিশন বাংলা রচনা

বিজ্ঞানের অত্যাশ্চর্য আবিষ্কার,  আজ মানুষের হাতের মুঠোয়। আর আধুনিক যুগে মানুষের জীবনে সর্বাধিক বিনোদনের যে প্রিয় বিজ্ঞানের আবিষ্কার তাহলো টেলিভিশন। এর আগে বেতারের মাধ্যমে ঘরে বসে সব শুনতে পেতাম। কিন্তু টেলিভিশনের মাধ্যমে নয় চোখে দেখতে পায় সমস্ত ঘটনা।

দূরের জিনিস ঘরে বসে অনুভব করতে পারে। আজ আমাদের জীবনের সকল ঘরোয়া বিনোদনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে দূরদর্শন।

টেলিভিশন আবিষ্কার ইতিহাস

১৯২৬  খ্রিস্টাব্দে জন বেয়ার্ড টেলিভিশন আবিষ্কার করেন। যদিও তার আরও অনেক পরে এটি প্রচলন হয়। ভারতের টেলিভিশন প্রথম আছে ১৯৫৯  খ্রিস্টাব্দে দিল্লিতে। তারপর ধীরে ধীরে সারা ভারতে এর প্রচলন হয়।

১৯৭৫  খ্রিস্টাব্দে ৯ আগস্ট কলকাতা দূরদর্শন কেন্দ্র স্থাপিত হয়। ভারতে প্রথম সাদাকালো টেলিভিশন প্রস্তুত করে পরে রঙিন টিভি তৈরি করে। উচ্চশক্তিসম্পন্ন ট্রান্সমিটারের সাহায্য পাঠানো হয় এবং উচ্চশক্তিসম্পন্ন ছবি টেলিভিশনে দেখানো হয়।

টেলিভিশনের উপকারিতা

দূরদর্শন একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। দূরদর্শন আধুনিক জীবনে প্রিয় সঙ্গী। ভারত দরিদ্র দেশ হলেও বর্তমানে এর গ্রাহক সংখ্যা প্রচুর। দুরদর্শন এর মাধ্যমে ছোটরা মজার অনুষ্ঠান, কুইজ কনটেস্ট, ম্যাজিক সমস্ত কিছু ঘরে বসে উপভোগ করতে পারে। এছাড়াও বড়দের বিনোদনের একটি বিশেষ উপযোগী বস্তু টেলিভিশন। যারা খেলার সঙ্গে ভীষণভাবে পরিচিত তারা টিভির পর্দায় সমস্ত ক্রীড়ানুষ্ঠান ঘরে বসেই দেখতে পারেন।

অলিম্পিক থেকে শুরু করে বিশ্বকাপ ফুটবল ক্রিকেট সব প্রচারিত হয় এর মাধ্যমে। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিষয়ে বিভিন্ন সর্তকতা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা হয় এর মাধ্যমে। এত বড় মাধ্যমের সাহায্যে প্রতিটি ঘরে ঘরেই সচেতনতা শিক্ষা দেওয়া সম্ভব। তবে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।

নিরক্ষর যে সমস্ত গ্রামবাসী যারা কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের কেউ টেলিভিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন পরামর্শ দান করা হয়।

টেলিভিশনের অপকারিতা

প্রতিটি জিনিস শুভ ও অশুভ দিক রয়েছে। ঠিক তেমনভাবেই টেলিভিশনে উপকারিতা থাকলেও এর অপকারিতা সংখ্যা কম নেই। বাড়িতে বসে এত কিছু পরিসেবা একসঙ্গে পাওয়ার ফলে শিক্ষার প্রচুর ব্যাঘাত ঘটে।

টেলিভিশনের ব্যবহার না করে মানুষ শুধু বিনোদন থেকেই আজকে গ্রহন করেছে যা কখনো ভালো হতে পারে না। টেলিভিশনে এমন কিছু অশ্লীল অপসংস্কৃতি মূলক অনুষ্ঠান প্রচারিত হয় যার ফলে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে প্রভাব পড়ে। বেশি টেলিভিশনের সামনে বসে থাকলে আবার চোখের উপর চাপ পড়ে। ফলে চোখ খারাপ হয়ে যায়।

 বিজ্ঞানের সুফল ও কুফল রয়েছে। বিস্ময়কর ভাবে টেলিভিশন আমাদের জীবনের প্রভাব বিস্তার করেছে। এই জনপ্রিয়তা সর্বদা একই মানের রাখতে হলে লক্ষ্য রাখতে হবে যে নৈতিক মান যাতে বজায় থাকে।

সুষ্ঠু কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিবেশ গঠনের ভূমিকা হবে অগ্ন্য। আর মানুষ যাতে আরো উন্নত মনোভাব গড়ে তুলতে পারে তা এই গন মাধ্যমের সাহায্যে প্রদর্শন করতে।